ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটি শুধু গাড়ি চালানোর কারীগরি দক্ষতার পরিচয় বহন করে না বরং কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি, পথচারি এমনকি চালকের নিজেরও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে এর সাথে। তাই রাস্থায় গাড়ি চালানোর আগে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা উচিৎ। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। চলুন জেনে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যক্তির মটরযান চালানোর কারীগরি দক্ষতার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও একটি অপরিহার্য দলিল।

বাংলাদেশের মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ৩ নং ধারা অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তি সর্বসাধারণের ব্যবহৃত কোনো রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবেন না। তাই চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

পোষ্টের বিষয়বস্তু

ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকারভেদ।

  1. লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স
  2. স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স
  3. আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স

প্রথম দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে BRTA বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। আর আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকে অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

তাই বাংলাদেশের যে কোন রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিতে হবে। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে আপনাকে কিছু নিয়ম পালনের পাশাপাশি কিছু কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে। তাহলে সহজেই করতে পারবেন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স।

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকে BRTA বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (সংক্ষেপে বিআরটিএ)। বিআরটিএ বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাত ও সড়ক নিরাপত্তা মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এবার আমরা জানবো কি কি নিয়ম পরিপালন করলে BRTA বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা যাবে। যে সব নিয়ম পরিপালন করতে হবে তা হলো-

  • BRTA সেবা বাতায়নে নিবন্ধন।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যোগ্যতা।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন।
  • ফি প্রদান।
  • পরিক্ষায় অংশগ্রহন।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা।

উপরোক্ত বিষয়ের নিয়মগুলো আপনি পালন করলেই নিজে নিজেই কোন দালাল ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন। নিম্মে পর্যায়ক্রমে বিষয় গুলো আলোচলা করা হলো।

BRTA সেবা বাতায়নে নিবন্ধন।

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো BRTA  এর সেবা বাতায়ন তথা এই https://bsp.brta.gov.bd/register ঠিকানায় গিয়ে আবেদনকারী NID কার্ড ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। মোবাইল নম্বরটি উক্ত NID নম্বর দিয়ে রেজিষ্টার হতে হবে।

নিবন্ধন করার সময় প্রদান করা পাসওয়ার্ড এবং ইউজার আইডি বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের যাবতীয় সেবা গ্রহন করতে পারবেন।

মনে রাখতে হবে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট এন আই ডি (NID) ধারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল আবেদন করা যাবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি চলে আসে তাহলো আপনার কি কি যোগ্যতা থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন বা লাইসেন্স পেতে পারেন। যে সব যোগ্যতা থাকলে আপনি লাইসেন্স পেতে পারেন তাহলো-

  • প্রথম ও আবশ্যকীয় শর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা।
  • আবেদনকারীর নূন্যতম বয়স হতে হবে ৮ম শ্রেনি পাশ।
  • মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা।
  • অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বয়সের তারতম্য রয়েছে। যেমন-
  • হালকা মটরযানের(যে গাড়ির ওজন ২৫০০ কেজির মধ্যে) জন্য প্রার্থীর নূন্যতম বয়স ২০ বছর।
  • মধ্যম মটরযানের (২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজির মধ্যে) জন্য প্রার্থীর নূন্যতম বয়স ২৩ বছর এবং ৩ বছরের হালকা মোটরযান চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • ভারী মটরযানের (যে গাড়ির ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি হবে) জন্য প্রার্থীর নূন্যতম বয়স ২৬ বছর এবং ৩ বছরের মধ্যম মোটরযান চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীগণকে অবশ্যই ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং রিপোর্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

উপরোক্ত যোগ্যতার পাশাপাশি কিছু কাগজ ও প্রমানপত্র একান্ত প্রয়োজন হবে। নিম্মে তা দেওয়া হলো।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্যঃ

  • অনলাইনে BRTA এর নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র।
  • আবেদনকারী ছবি যাহা ৩০০ x ৩০০ পিক্সেল সাইজের সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোবাইটের হতে হবে।
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (যার স্ক্যান সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি বা কিলোবাইট)।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID কার্ড অথবা জন্ম সনদের স্ক্যান কপি (যার স্ক্যান সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি বা কিলোবাইট)।
  • ঠিকানা প্রমানের জন্য বর্তমান ঠিকানার যে কোন একটি ইউটিলিটি বিলের (বিদ্যুত, গ্যাস ইত্যাদি) স্ক্যান কপি (যার স্ক্যান সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি বা কিলোবাইট) ।
  • বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি {ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য} (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি) ।
  • নির্ধারিত ফি প্রধান। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা (শুধু মাত্র মোটর সাইকেল) ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা (মটর সাইকেল ও একটি হালকা মোটরযান দুটি একসাথে) অনলাইনে পরিশোধ।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের একই কাগজপত্র লাগবে। অতিরিক্ত যে সব কাগজ দরকার হবে তা হলো-

  • লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বরটি সংযোজন করতে হবে। যেটা দেওয়া হবে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা পাশের পর।
  • নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৪৩৮/-টাকা ও অপেশাদার- ২৩০০/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
  • আর পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

আবেদনের পর গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

দেশের বাইরে গাড়ি চালনার জন্য আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। আর এই লাইসেন্স প্রদান করে থাকে অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে। বিআরটিএ এই লাইসেন্স ইস্যু করে না। এখানে যে সব কাগজপত্র লাগবে তা হলো-

  • স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা।
  • বিআরটিএ’র সাইট থেকে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করা।
  • স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • এক কপি পাসপোর্ট ও ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
  • নিজের পাসপোর্টের ১ থেকে ৪ নং পাতার ফটোকপি।

এই সব কাগজপত্র ও ফরমটি স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুযায়ী পূরন করে নির্ধারিত ফি প্রাদান করে ফি এর রশিদ সংযুক্ত করে অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ অফিসে জমা দিতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পারমিটের আবেদন ফি হলো সাধারন ক্যাটাগরি ২৫০০ টাকা। তবে কেউ যদি দ্রুত বা ৭(Super Express) দিনের মধ্যে IDP পেতে চায় তাহলে আবেদন ফি হিসেবে ৩৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আবেদন জমা দানের সময় অফিস থেকে আপনাকে একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেওয়া হবে, যেখানে লাইসেন্স পাওয়ার সম্ভব্য তারিখ উল্লেখ থাকবে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে নির্ধারিত তারিখে সরাসরি গিয়ে আপনি আপনার আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন।

গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

পরিক্ষায় অংশগ্রহন।

২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক(কাগজপত্র), তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সে পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করার আগে নির্ধারিত ফি প্রদান করে, জমা রশিদ আবেদনের সাথে সংযুক্ত

ফি প্রদান।

ফি এর ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরন অনুযায়ী কম বেশি রয়েছে। যথা-

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ

  1. শুধুমাত্র একটি মটর সাইকেল অথবা একটি হালকা মটরযানের জন্য ৫১৮/-টাকা।
  2. একটি মটর সাইকেল এবং একটি হালকা মটরযান যৌথভাবে ৭৪৮/-টাকা।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ

  1. ৫ বছরের জন্য নবায়ন ফি সহ পেশাদার লাইসেন্স ফি ১৬৮০/-টাকা।
  2. ১০ বছরের জন্য নবায়ন ফি সহ অপেশাদার লাইসেন্স ফি ২৫৪২/-টাকা।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিঃ

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফি ২৫০০/- টাকা।

ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা।

উপরোক্ত নিয়মগুলো যথাযথ ভাবে পরিপালন করে অনলাইনের মাধমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর প্রথম তিনটি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। যথা-

  1. লিখিত।
  2. মৌখিক।
  3. ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা

উক্ত তিনটি পরিক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে এবং আবেদনকারী বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (BSP) এ নিবন্ধিত একাউন্ট ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার ফলাফল দেখতে পারবে।

উপরের তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বায়োমেট্রিক(ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং আঙ্গুলের ছাপ) এর জন্য sms এর মাধ্যমে আপনাকে ডাকা হবে।

বায়োমেট্রিক(ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের পর আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুমোদন হবে। অনুমোদনের পর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট হলে আপনার প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। SMS অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে আপনার সার্কেল অফিস থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরো জানুনঃ

উপসংহার।

ড্রাইভিং লাইসেন্স মোটরযান চালানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার দলিল। এটি যেমন ব্যক্তির নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তেমনি পথচারীর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে থাকে। সাথে সাথে ব্যক্তির জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিচয় বহন করে থাকে।

তাই আমাদের উচিৎ নিয়ম মেনে বৈধ ভাবে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা। আশা করি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে সহজেই জানতে পারবেনড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

About Author

AMINUL ISLAM

মোঃ আমিনুল ইসলাম। পেশায় একজন ব্যাংকার। চাকরির পাশাপাশি লেখা লেখির অভ্যাস থেকে ব্লগিং করা। এই ব্লগে বিভন্ন প্রযুক্তি , সরকারি সেবা, ব্যাংকিং, আইন ও নিয়ম কানুন, এবং ইসলামিক সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি।

Leave a Comment