পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

আমরা অনেকেই চিন্তা করি হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ কিভাবে অনলাইন করা যায়। বিষয়টি একেবারেই সহজ। আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারপবেন কিভাবে হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করা যায়। আজ আমরা জানবো পুরাতন হাতে লিখা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করার নিয়ম। চলুন জেনে নেই, পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

আমাদের দেশের অনেকের হাতে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে যেটি হাতে লেখা এবং নাম্বারটি ১৬ সংখ্যার। এই ধরনের জন্ম নিবন্ধন সনদ দ্বারা কোন সরকারী বা বেসরকারী সেবা পাওয়া যায় না। এখন যে কোন সেবা পেতে প্রয়োজন ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। তাই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পোষ্টের বিষয়বস্তু

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

পূর্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হতো ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে হাতে লিখে। এই জন্ম নিবন্ধন সনদটি সরকারী কোন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকতো না। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে নির্ধারিত একটি রেজিষ্ট্রারে এন্ট্রি করা হতো। আর এই জন্ম নিবন্ধন সনদ নাম্বারটি হতো ১৬ সংখ্যার।

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য জাতীয় তথ্য বাতায়নে সংরক্ষিত করার লক্ষ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনলাইন বা ডিজিটাল করার কার্যক্রম শুরু করে। এই জন্য সরকার পূর্বের ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে হাতে লিখা জন্ম নিবন্ধন সনদ পর্যায়ক্রমে অনলাইন করেছে।

বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্বে এটি বাধ্যতামূলক ছিলো না। ২০০৭ ইং সনের আগে জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID কার্ড প্রদানের পূর্বে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে যে কোন সরকারী বা বেসরকারী সেবা পাওয়া যেতো। এখন আর  সেই সুযোগ নেই। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID কার্ড নেই তাদের অবশ্যই অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার প্রয়োজনীয়তা।

যারা এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID কার্ড হাতে পায়নি বা যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ একান্ত প্রয়োজন। কারণ এটি ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কোন বাংলাদেশী নাগরিকের সরকারী বা বেসরকারী সেবা পাওয়া দুষ্কর। যেসব সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদ একান্ত প্রয়োজন তা হলো-

  • শিশুর স্কুলে ভর্তি।
  • বিভিন্ন টিকা প্রদান।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID।
  • স্কুল জীবনের সার্টিফিকেট।
  • পাসপোর্ট।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদি।

উপরোক্ত সেবা পেতে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সনদ একান্ত প্রয়োজন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে যা যা প্রয়োজন।

  • বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক-এর নিকট থেকে প্রত্যয়ন পত্র।
  • পিএসসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী), জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) বা এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট)।
  • বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মায়ের অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের সাপেক্ষে বাবা/মা/দাদা/দাদির স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখিত জায়গার বিপরীতে নবায়নকৃত কর প্রদানের প্রমাণপত্র
  • নিজ নামের জমির দলিল।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করতে সকল বয়সের মানুষের জন্য আবেদন সম্পন্ন করার পর এক কপি ছবি সহ অনলাইন প্রিন্ট কপি স্থানীয় সরকারের অফিসে জমা দিতে হবে

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে আরো প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার এবং সাথে থাকতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ। আপনি নিজে অনলাইনের কাজ জানলে মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।আর যদি আপনি অনলাইনের কাজ না জানেন তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে আবেদন করা বা কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করা।

আরো জানুনঃ 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

প্রথমে আপনাকে আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদটি অনলাইনে আছে কিনা সেটি চেক করতে হবে। যদি অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য খুঁজে পাওয়া না যায় অথবা যদি আপনি নিশ্চিত হন যে আপনার নিবন্ধন তথ্য সরকারী ডাটাবেইজে নেই তখন আপনাকে অবশ্যই নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।

পুরাতন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করার নিয়ম আর নতুন ভাবে অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া একই। অর্থাৎ নতুনভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন যে ভাবে করতে হয় সেই প্রক্রিয়া আবলম্বন করেই পুরাতন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য প্রথমে এই bdris.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, নিবন্ধনাধীন শিশু/ব্যক্তির তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য, স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা, আবেদনকারী ব্যক্তির তথ্য দিতে হবে। সব শেষে আবেদন কপি প্রিন্ট করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এককপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।

নিম্মের ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে অবলম্বন করে পুরাতন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ নতুনভাবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রথম ধাপঃ ওয়েবসাইটে প্রবেশ।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে প্রথমে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে এই https://bdris.gov.bd/ ঠিকানায়। এখানে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে নিচের পেইজটি ওপেন হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

দ্বিতীয় ধাপঃ নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মস্থানের ঠিকানা।

আপনি কোন ঠিকানার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন করাতে চান বা কোন স্থানের অফিস থেকে সনদ সংগ্রহ করতে চান উপরের পেইজে টিক চিহ্ন দিতে হবে। এর পর নিচের ডানদিকের সবুজ চিহ্নিত “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তৃতীয় ধাপঃ নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি।

উপরের পেইজের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলেই নিম্মের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনের পেইজটি পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

এই পেইজে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা সিলেক্ট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

চতুর্থ ধাপঃ নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির বাব-মার পরিচিতি।

উপরের ফরমের নিচে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলেই আপনার সামনে নিচের ফরমটি চলে আসবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

উপরের পেইজে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পিতার তথ্য ও মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে। অতঃপর ডানদিকের নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পঞ্চম ধাপঃ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন।

উপরের ফরমের নিচে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলেই আপনার সামনে নিচের ফরমটি চলে আসবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

এই ধাপে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা পূরণ করতে হবে। প্রথম অপশনে যদি জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, তাহলে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিলেই অটোমেটিকলি পূরণ হয়ে যাবে।

একইভাবে স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিলেই অটোমেটিকলি পূরণ হয়ে যাবে। সবশেষে পরবর্তী বাটনে ক্লক করে পরের ধাপে যেতে হবে।

ষষ্ঠ ধাপঃ আবেদনকারীর প্রত্যায়ন।

উপরের পেইজের নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলেই নিচের ফরম চলে আসবে।

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

এখানে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত পিতা-মাতার দায়িত্ব হচ্ছে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করানো। এছাড়া  পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক সহ অন্য যে কেউ  শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তার তথ্য যথাযথ ভাবে পূরন করতে হবে।

তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন। নিজ সিলেক্ট করার সাথে সাথে আপনার নাম চলে আসবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার আগে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযোজন করতে হবে।

সপ্তম ধাপঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড।

এতক্ষণ আবেদন পত্রের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পূরন করে এখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। অর্থাৎ আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।

যে কাগজপত্র গুলো আপনি আবেদন শুরু করার আগে স্ক্যান করে সংরক্ষণ করেছিলেন, সেখান থেকে নিয়ে যথাস্থানে আপলোড করে দিতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করার পর ডান পাশে নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর নিচের পেইজের মতো আবেদনের সামারী দেখা যাবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

এই পেইজে আপনাকে আবেদনের সামারী দেখানো হবে। কোন ভুল হলে পূর্ববর্তী বাটনে গিয়ে ঠিক করা যাবে। কিন্তু সাবমিট হয়ে গেলে আর এডিট করা যাবে না।

অষ্টম ধাপঃ আবেদনপত্র নিশ্চিত করুন।

উপরের সপ্তম ধাপের পেইজে সব তথ্য ঠিকঠাক থাকলে এবার ফাইনাল সাবমিটের পালা। আবেদনপত্র নিশ্চিত হয়ে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলে নিচের পেইজটি চলে আসবে। সাথে সাথে প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে একটি OTP যাবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

এই পেইজে প্রথমে ইমেল নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার বসিয়ে ওটিপি পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর মোবাইলে OTP গেলে সেটি নিচে বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে ফি পরিশোধ অপশনে।

নবম ধাপঃজন্ম নিবন্ধনের ফি প্রদান।

আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করে সাবমিট করার পর আপনার সামনে চলে আসবে ফি পরিশোধের মাধ্যম। জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের ফি দুইভাবে প্রদান করা যায়।যথা-

  1. ফি আদায়।
  2. চালানের মাধ্যমে।

অর্থাৎ সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসে ফি জমা দেওয়া যাবে অথবা অটোমটেড চালানের মাধ্যমেও জমা দেওয়া যাবে। ফি জমা দিয়ে চালানের রশিদ আবেদনের প্রিন্টের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

দশম ধাপঃনতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট।

সফলভাবে ফরমটি সাবমিট হলে আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করার সময়, Print Option থেকে More Settings এ ক্লিক করুন। এরপর Headers and Footers অপশনে টিক দেয়া না থাকলে টিক দিয়ে প্রিন্ট করুন। কেননা Headers and Footers এ ক্লিক না করলে আপনার প্রিন্ট কপিতে Application ID নাম্বার থাকবে না।

একাদশতম ধাপঃ আবেদনপত্র জমাদান।

উপরের সমস্ত কাজ শেষ করে আবেদনপত্রটি সাবমিট করে প্রিন্ট অপশন থেকে প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করে যে সমস্ত কাগজপত্র আপলোড করা হয়েছে তার একটি করে কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে নির্ধারিত ফি এর রশিদ সহ ইউনিয়ন/পউরোসভা/সিটি কর্পোরেশনের/উপজেলার নির্ধারিত অফিসে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই Application ID নাম্বার লিখে রাখতে হবে। তা নাহলে পরবর্তীতে আবেদনের অবস্থা জানা যাবে না। আবেদনের অবস্থা জানতে অবশ্যই Application ID প্রয়োজন হবে।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৭ এর বিধি ২৩ এর উপ-বিধি (৭) এর ক্ষমতাবলে সরকার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফিস নিম্নোক্তভাবে পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরে আর ফি পুন:নির্ধারিত হয়নি।

  • জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন বিনা ফিসে করা যাবে।
  • জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন ফি ( সর্ব সাকুল্যে) ২৫ টাকা দেশে নিবন্ধন করা যাবে।
  • জন্মের ৫ (পাঁচ) বৎসর পর কোন ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধন ফি (সাকুল্যে) ৫০ টাকা দেশে নিবন্ধন করা যাবে।
  • বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় নকল সরবরাহ পাওয়া যাবে ৫০ টাকা ফি জমা করে।
  • জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ১০০  টাকা।
  • জন্ম তারিখ ব্যতিত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা বাংলাদেশে জন্ম হলে।
  • বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ পাওয়া যাবে বিনা ফিসে।

উপরোক্ত ফিগুলো রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেষ কথা।

জন্ম নিবন্ধন যেহেতু আমাদের দেশে একটি চলমান প্রক্রিয়া সেহেতু এটি করার নিয়ম জানা সকলেরি উচিৎ। আশাকরি উপরের লেখাটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি নিজে নিজেই আপনার বা আপনার পরিবারের যে কোন সদস্যের পুরাতন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনের সনদ অনলাইনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

About Author

AMINUL ISLAM

মোঃ আমিনুল ইসলাম। পেশায় একজন ব্যাংকার। চাকরির পাশাপাশি লেখা লেখির অভ্যাস থেকে ব্লগিং করা। এই ব্লগে বিভন্ন প্রযুক্তি , সরকারি সেবা, ব্যাংকিং, আইন ও নিয়ম কানুন, এবং ইসলামিক সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি।

2 thoughts on “পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম”

Leave a Comment