জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন সনদ আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস। আর এই জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকে। তখন প্রয়োজন হয় সংশোধনের। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের আবেদন করা যায়। চলুন জেনে নেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

দেশের যে সব নাগরিকের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তাদের জন্য একমাত্র ভরসা জন্ম নিবন্ধন সনদ। কেননা একজন ব্যক্তির দেশের নাগরিকত্বের প্রথম প্রমানপত্র হলো জন্ম নিবন্ধন সনদ। এটির উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে তৈরি হয়-

  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • স্কুল জীবনের সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদি।

তাছাড়া শিশু জন্মের পর প্রথম স্কুলে ভর্তি হতে প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন সনদ। আর এই সনদে যদি হয় ভুল, তাহলে পরবর্তীতে সকল সার্টিফিকেটে ভুল হবে। তাই ভুল চিহ্নিত হওয়ার সাথে সাথেই সংশোধন করে নেওয়া উচিৎ।

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার শিশুর বা নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ নিজে নিজেই সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের আবেদন প্রিন্ট করে নির্ধারিত ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ  স্থানীয় অফিসে জমা দিলেই আপনার সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি পাওয়া যাবে।

পোষ্টের বিষয়বস্তু

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

যেহেতু বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের আবেদন করা যায়,তাই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে অনলাইনে আবেদন করা যায়। এটি একেবারেই সহজ। আপনি যদি এই লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে ৫ মিনিটের মধ্যেই সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। নিম্মে পর্যায়ক্রমে সংশোধনের নিয়ম আলোচনা করা হলো।

জন্ম নিবন্ধনের সাধারণত ভুলের ধরন।

আমরা যখন জন্ম নিবন্ধন করে থাকি তখন বিভিন্ন ধরনের ভুল হয়ে থাকে। যেগুলো পরবর্তীতে সংশোধনের একান্ত প্রয়োজন পড়ে। জন্ম সনদে নিম্মোক্ত ভুল হলে সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে।

  • নামের ভুল।
  • পিতা-মাতার নামের ভুল।
  • বর্তমান ঠিকানার ভুল।
  • স্থায়ী ঠিকানার ভুল।
  • জন্ম তারিখের ভুল।

উপরোক্ত ভুল সংশোধন করতে প্রমান স্বরূপ প্রমানপত্র দাখিল করতে হয়। এই জন্য আমাদের জানতে হবে কোন ধরনের ভুল সংশোধন করতে কি ধরনের প্রমানপত্র বা কাগজপত্র লাগবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করতে কি কি লাগে।

নামের ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ নামের ভুল হলে নিম্মোক্ত কাগজপত্র বা প্রমানপত্র প্রয়জন হবে।

  1. টিকা কার্ডের কপি(বয়স ১৮ বছরের কম হলে)।
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র
  3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
  4. অথবা হাসপাতালের ছাড়পত্র।

পিতা-মাতার নামের ভূল সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ  পিতা-মাতার নামের ভূল হলে নিম্মোক্ত কাগজপত্র বা প্রমানপত্র প্রয়োজন হবে।

  1. পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।
  2. পিতা মাতার NID Card।
  3.  শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
  4. স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রদত্ত পরিচয়পত্র(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

বর্তমান ঠিকানার ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ  বর্তমান ঠিকানা যদি পরিবর্তন করতে হয় বা ভুল হয়, তাহলে সংশোধনের জন্য নিম্মক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে।

  1. বিদ্যুৎ অথবা ইউটিলিটি বিলের কপি।
  2. স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রদত্ত পরিচয়পত্র(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

স্থায়ী ঠিকানার ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রেঃ স্থায়ী ঠিকানা যদি পরিবর্তন করতে হয় বা ভুল হয়, তাহলে সংশোধনের জন্য নিম্মক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে।

  1. চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন পত্র।
  2. স্থায়ী ঠিকানার খাজনা / কর পরিশোধের রশিদ।
  3. জমির দলিল(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

উপরোক্ত ভুল হলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আগে থেকেই স্ক্যান করে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে হবে। এই জন্য আপনার আরো প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার। যার সাথে থাকতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ।

আরো জানুনঃ

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

উক্ত প্রস্তুতি নিয়ে নিম্মের ধাপ গুলো অবলম্বন করে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

প্রথম ধাপঃ ওয়েবসাইটে প্রবেশ।

জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের জন্য প্রথম প্রবেশ করতে হবে এই https://bdris.gov.bd/br/correction ঠিকানায়। এখানে প্রবেশ করার সাথে সাথেই নিম্মের পেইজটি ওপেন হবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

এই পেইজে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, জন্ম তারিখ,ক্যাপচা কোড পূরণ করে সবুজ চিহ্নিত “অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্ম তথ্য যাচাই করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপঃ জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই।

উপরের পেইজে আসার পর আপনাকে তিনটি অপশন পূরণ করতে হবে। যথা-

  1. জন্ম নিবন্ধন নাম্বার।
  2. জন্ম তারিখ।
  3. ক্যাপসা কোড পূরণ।

উপরোক্ত তিনটি কোড পূরণ করে নিচের অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে।

অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করার পর উপরের একই পেইজের নিজে আপনার বা যার সনদ সংশোধনের আবেদন করছেন তার নাম, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নাম দেখতে পাবেন।

পেইজে প্রদর্শিত তথ্যগুলো ঠিকা থাকলে নিচে ডান পাশে সবুজ চিহ্নিত “নির্বাচন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। “নির্বাচন করুন” বাটনে ক্লিক করার পর কনফার্ম করুন এরকম একটি মেসেজ দেখতে পাবেন।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

“কনফার্ম”  বাটনের উপর ক্লিক করলেই আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে আবেদন পেইজে।

উল্লেখ্য যে,যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিটের না হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জন্ম নিবন্ধন অফিস/ উপজেলা কার্যালয় যোগাযোগ করে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করতে হবে। একমাত্র অনলাইন সম্পন্ন হলে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রদান করা হবে।

তৃতীয় ধাপঃ আবেদনপত্র পূরণ।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে নিম্মক্ত চারটি পর্যায় অবলম্বন করতে হয়। যথা-

  1. সংশোধনের বিষয় নির্বাচন।
  2. চাহিত সংশোধিত তথ্য।
  3. ভুলের কারণ উল্লেখ।
  4. ঠিকানা পূরণ।

সংশোধনের বিষয় নির্বাচন করুনঃ

যখন আপনাকে আবেদনপত্রে নিয়ে যাওয়া হবে তখন প্রথমে আপনাকে সংশোধনের বিষয় নির্বাচন করতে হবে। একাধিক তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে আরো তথ্য সংযোজন করুন বাটনে ক্লিক করে আরো তথ্য সংশোধনের জন্য নতুন একটি অপশন যুক্ত করতে হবে।

সংশোধনের বিষয় হিসেবে আপনি যে কোন তথ্য সংশোধনের জন্য সংযোজন করতে পারবেন। ফরমে মোট ১৫টি তথ্য সংশোধনের জন্য রয়েছে। তার মধ্য থেকে যেকোন একটি সিলেক্ট করতে হবে। যেমন-

  • আপনার নাম।
  • পিতা-মাতার নাম।
  • জন্ম তারিখ।
  • বর্তমান ঠিকানা।
  • স্থায়ী ঠিকানা,
  • জন্ম স্থানের ঠিকানা, ইত্যাদি। অর্থাৎ একটি সনদে যে সকল তথ্য থাক সব কিছুই দেখতে পাবেন। আর আপনার ভুলের বিষয়টি সংযোজন করুন।

চাহিত সংশোধিত তথ্য লিখুনঃ

বিষয় সংযোজনের পর চাহিত সংশোধিত তথ্য লিখতে হবে। অর্থাৎ যেটি ভুল হয়েছে সেটির সঠিক তথ্যটি কি হবে সেটি হাতে লিখে দিতে হবে। যদি একাধিক বিষয় সংশোধন করতে চান তাহলে প্রত্যেকটির সঠিক তথ্য হাতে লিখে দিতে হবে।

ভুলের কারণ উল্লেখ করুনঃ

এখানে আপনার জন্ম সনদের ভুলের কারন উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ যে কারনে ভুল হয়েছিলো তাহা সিলেক্ট করুন। আমাদের ভূল সাধারণত লিখতে ভুল হয়, সুতারাং সেটি সিলেক্ট করতে হবে।

ঠিকানা পূরণ।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

আবেদনের উপরের ভূলের তথ্যগুলো পূরন করে এবার নিচের অংশে ঠিকানা পূরণ করতে হবে। এখানে তিন ধরনের ঠিকানা রয়েছে। যেমন-

  1. জন্ম স্থানের ঠিকানা।
  2. স্থায়ী ঠিকানা।
  3. বর্তমান ঠিকানা।

তিনটি ঠিকানাই যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। যদি ঠিকানা সংশোধন করতে চান তাহলে সঠিক ঠিকানা লিখে দিতে হবে। আর যদি ঠিকানা সঠিক থাকে তাহলে জন্ম সনদ অনুযায়ী পূরন করে শেষ করতে হবে।

চতুর্থ ধাপঃআবেদনকারীর তথ্য প্রদান।

জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের আবেদনের এই পর্যায়ে আবেদন কারীর তথ্য প্রদান করতে হবে। সংশোধনের আবেদন যে কেউ করতে পারে। আপনি নিজে নিজেই করতে পারেন অথবা আপনার পক্ষে অন্য যে কেউ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে, আপনার পিতা-মাতা যে কেউ করলে, ব্যক্তি সিলেক্ট করার সাথে সাথেই নাম চলে আসবে।

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

এছাড়া অন্য কেউ আবেদন করলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র(বাধ্যতামূলক নয়), নাম, ইমেইল নাম্বার(বাধ্যতামূলক নয়) দিতে হবে।

উপরের তথ্যগুলো প্রদান করে সকলের জন্য মোবাইল নাম্বার দিয়ে OTP(ওটিপি পাঠান) বাটনে ক্লিক করলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি চলে যাবে।

অটিপি(OTP)টি সঠিক ঘরে বসিয়ে সবশেষে সবুজ চিহ্নিত সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

পঞ্চম ধাপঃসংশোধনের জন্য প্রমাণপত্র আপলোড।

এতক্ষণ আবেদন পত্রের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পূরন করে এখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। অর্থাৎ যে বিষয়টি সংশোধন করেছেন সেটির পক্ষে সঠিক প্রমানপত্র আপলোড করতে হবে।

যে কাগজপত্র গুলো আপনি আবেদন শুরু করার আগে স্ক্যান করে সংরক্ষণ করেছিলেন, সেখান থেকে নিয়ে যথাস্থানে আপলোড করে দিতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করার পর ডান পাশে নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর নিচের পেইজের মতো আবেদনের সামারী দেখা যাবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

এই পেইজে আপনাকে আবেদনের সামারী দেখানো হবে। কোন ভুল হলে পূর্ববর্তী বাটনে গিয়ে ঠিক করা যাবে। কিন্তু সাবমিট হয়ে গেলে আর এডিট করা যাবে না।

ষষ্ঠ ধাপঃ আবেদনপত্র নিশ্চিত করুন।

উপরের পঞ্চম ধাপের পেইজে সব তথ্য ঠিকঠাক থাকলে এবার ফাইনাল সাবমিটের পালা। আবেদনপত্র নিশ্চিত হয়ে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলে নিচের পেইজটি চলে আসবে। সাথে সাথে প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে একটি OTP যাবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম

এই পেইজে প্রথমে ইমেল নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার বসিয়ে ওটিপি পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর মোবাইলে OTP গেলে সেটি নিচে বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে ফি পরিশোধ অপশনে।

সপ্তম ধাপঃ সংশোধন ফি পরিশোধ।

আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করে সাবমিট করার পর আপনার সামনে চলে আসবে ফি পরিশোধের মাধ্যম। জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের ফি দুইভাবে প্রদান করা যায়।যথা-

  1. ফি আদায়।
  2. চালানের মাধ্যমে।

ফি আদায়ঃ

ফি আদায় বলতে সরাসরি অফিসে যেটা জমা দেওয়া যায় সেটি। এই পদ্ধতিই সবচেয়ে উত্তম। অর্থাৎ কোন ঝামেলা ছাড়া জমা দেওয়া যায়। এই জন্য ফি আদায় অপশনে ক্লিক করতে হবে।

যেহেতু অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদনের প্রিন্ট কপি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ জমা দিতে যেতে হয় সেহেতু ঐ অফিসেই সরাসরি নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।

চালানের মাধ্যমেঃ

সরাসরি ফি জমা ছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমেও জমা দিতে পারা যায়। সেইজন্য চালানের মাধ্যমে অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। চালানের মাধ্যমে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরন করে ফি পরিশোধ করতে হবে।

অষ্টম ধাপঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন পত্র প্রিন্ট ও জমাদান।

অনলাইনে আবেদন জমার পর, আপনি একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও রেফারেন্স নাম্বার পাবেন এগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এরপর সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে রাখতে পারেন এবং  প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিন।

সাথে সাথে আপনি যেসব কাগজপত্র আপলোড করেছেন তার এক কপিও সাথে জমা দিতে হবে।

সেখনে গিয়ে আগে ফি সরাসরি জমা দিয়ে জমা স্লিপ নিয়ে তারপর আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। আর অনলাইনে ফি দিলে অনলাইন চালানের রশিদ নিয়ে জমা দিতে হবে।

আরো জানতে ক্লিক করুনঃ

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের সরকার নির্ধারিত ফি।

সংশোধনের ধরন   বাংলাদেশে থেকে  বিদেশে থেকে 
তথ্য সংশোধনের জন্য ফি  ১০০ টাকা  ২ ডলার
জন্ম তারিখ ব্যতীত শুধুমাত্র নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ৫০ টাকা   ১ডলার
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ বিনা ফিসে   বিনা ফসে
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ ৫০টাকা ১ ডলার

         

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদনের অবস্থা জানার নিয়ম।

সংশোধনের আবেদন করার পর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা জানা যাবে অনলাইনের মাধ্যমেই। এই জন্য প্রয়োজন হবে দুটি বিষয়ের। যথা-

  1. এপ্লিকেশন আইডি(যেটি আবেদন করার সময় দেওয়া হয়েছে)।
  2. সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্ম তারিখ।

জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধন আবেদনের অবস্থা জানার জন্য এই লিংকে – https://bdris.gov.bd/br/application/status ভিজিট করুন। এখানে প্রবেশ করার পর নিম্মের পেইজটি চলে আসবে।

  • এখানে প্রথমে আবেনের ধরন সিলেক্ট করুন।
  • অ্যাপ্লিকেশন আইডি বসিয়ে দিন।
  •  জন্ম তারিখ বসিয়ে পরবর্তীতে “দেখুন” বাটনে ক্লিক করুন।

“দেখুন” বাটনে ক্লিক করলেই আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে পাবেন।

শেষ কথা।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ পড়লে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজেই করতে পারবেন। কারো সহযোগীতার প্রয়োজন হবেনা

About Author

AMINUL ISLAM

মোঃ আমিনুল ইসলাম। পেশায় একজন ব্যাংকার। চাকরির পাশাপাশি লেখা লেখির অভ্যাস থেকে ব্লগিং করা। এই ব্লগে বিভন্ন প্রযুক্তি , সরকারি সেবা, ব্যাংকিং, আইন ও নিয়ম কানুন, এবং ইসলামিক সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি।

Leave a Comment