জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩। ই নামজারীর আবেদন করার নিয়ম।

আপনি কি নিজের নামে কিছু জমি ক্রয় করেছেন? ওয়ারিশ সূত্রে কি কিছু জমির মালিকানা আপনি লাভ করেছেন? তো ভাবছেন কিভাবে এই জমি আপনার নামে খারিজ করবেন। আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি। আজ আমরা আলোচনা করবো জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩। ই নামজারীর আবেদন করার নিয়ম। চলুন জেনে নেই জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বুঝে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে। এই আর্টিকেল থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনি নিজে নিজে অনলাইনে জমি খারিজ করার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন দালালের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবেনা।

দালালদের কারণে অথবা আমরা নিজেরা কোন রকমের চেষ্টা না করায় বর্তমান বাংলাদেশে যে নামজারী বা খারিজ করতে খরচ হওয়ার কথা মাত্র ১১৭০/- সেখানে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে নিজে নিজে চেষ্টা করে অথবা ঘরে বসে অনলাইনে জমির খারিজ করবেন তার বিস্তারিত।

এই প্রক্রিয়ায় আপনাকে বেশি শিক্ষিত বা বুঝার দরকার হবে না। শুধুমাত্র দরকার সাহসের এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের। আপনি নিজে কম্পিউটারের কাজ বুঝলেতো সবচেয়ে ভালো। আর যদি না বুঝেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকানে অথবা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে যদি আপনি অনলাইনের কাজ না বুঝেন বা নিজের কোন কম্পিউটার না থাকে তাহলে ইউনিয়ন বা স্থানীয় ভূমি অফিসের যে কোন একজনের সহযোগীতায় অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যাকে দিয়ে আবেদন করাবেন তাকে আপনি খুশি হয়ে ৫০০-১০০০ টাকা দিলেই হয়ে যাবে। কেননা তারাই আপনার আবেদন যথাযথ ভাবে করতে পারবে।

পোষ্টের বিষয়বস্তু

খারিজ বা নামজারি কি?

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৩ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি যদি কোন জমির মালিকানা লাভ করে, অতঃপর পূর্বের মালিকের নাম পরিবর্তন করে তার নিজের নাম সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় বা তার নিজের নামে নতুন খতিয়ান খোলে তবে তাকে নামজারি বা খারিজ বলে। ইংরেজীতে যাকে মিউটেশন (Mutation) বলে।

ই নামজারি কি?

পূর্বে জমির খারিজ বা নামজারি করা হতো একমাত্র সরাসরি আবেদন ফরম পূরণ করে। এখন ভুমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনলাইনে জমি খারিজ করার ব্যবস্থা করেছে, যাতে ঘরে বসেই নাগরিকগন তাদের জমির খারিজ বা নামজারির আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে জমির খারিজের আবেদনের মাধ্যমে যে নামজারি করা হয় তাকেই ই নামজারি বলা হয়।

এখন অনলাইনে জমির খারিজ বা নামজারি করা, খাজনা বা ভূমি কর পরিশোধ, জমির খতিয়ান দেখা, খতিয়ান যাচাই সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ঘরে বসে করা যাবে। আমরা এই লেখার মাধ্যমে জানাবো কিভাবে অনলাইনে জমি খারিজ করা যায় বা ই নামজারি করার নিয়ম সম্পর্কে।

জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩।

অনলাইনে ই-নামজারি বা খারিজের আবেদন করার  পদ্ধতি ২০২৩ বা ই নামজারি/জমির খারিজ কিভাবে করতে হয়, ই নামজারির ফি পেমেন্ট করার পদ্ধতি, ই নামজারির আবেদন যাচাই কিভাবে করতে হয় এসকল বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই এই আর্টিকেলের সকল তথ্য ভালো করে পড়ে ই-নামজারি আবেদন করুন ঘরে বসে।

খারিজের আবেদন করতে যে সব কাগজপত্র প্রয়োজন।

  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
  • আবেদনকারীর স্বাক্ষর।
  • জমির মালিকানার দলিল।
  • ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হলে ওয়ারিশান সনদ।
  • জমির সর্বশেষ খতিয়ান(আর.এস/বি.এস/সিটি জরিপ খতিয়ান)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র।

আপনি যদি অনলাইনে জমি খারিজ করতে চান তাহলে উপরোক্ত কাগজ পত্র শুরুতেই স্পষ্টভাবে স্ক্যান করে কম্পিউটারের একটি ফোল্ডারে সংরক্ষন করতে হবে। পরবর্তীতে এই স্ক্যানকৃত কাগজপত্রসমূহ অনলাইনে ই নামজারি আবেদনের নির্ধারিত স্থানে আপলোড করে দিতে হবে। ফাইল গুলো অবশ্যই JPG অথবা PDF ফাইল আকারে সংরক্ষন করতে হবে।

জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩।

যদি আপনি নিজে আবেদন করতে না পারেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকানে যেতে পারেন, যেখানে ই নামজারির আবেদন করা হয়। এছাড়া আপনি স্থানীয় ভূমি অফিস বা উপজেলা ভূমি অফিসের যে কোন একজন সহকারীর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলে আপনার আবেদন তারা করে দিবে। এক্ষেত্রে তাকে সামান্য ১০০০-১৫০০/- টাকা দিলেই হয়ে যাবে। এতে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে।

জমির ই নামজারি বা খারিজ করতে আপনাকে প্রথম প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার। যাতে সংযোগ থাকতে হবে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি কম্পিউটার এবং উপরোক্ত কাগজপত্র আপলোড করার পর আবেদন করতে নিম্মোক্ত ধাপগূলো পর্যায়ক্রমে অবলম্বন করতে হবে।

প্রথম ধাপঃ  ওয়েবসাইটে প্রবেশ।

জমির খারিজ অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে https//mutation.land.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে নিচের পেইজটি ওপেন হবে।জমি খারিজ করার পদ্ধতি

উপরের পেইজ থেকে আপনাকে লাল মার্ক করা “নামজারি আবেদন” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপঃ আবেদন ফরম পূরণ।

আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে চারটি পেইজ বা ধাপ রয়েছে। যথা-

  1. প্রথম পেইজে আবেদনকারীর ঘোষনা।
  2. দ্বিতীয় পেইজে জমির তফসিল ও গ্রহিতার তথ্য।
  3. তৃতীয় পেইজে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড।
  4. চতুর্থ পেইজে ফি পরিশোধ বা পেমেন্ট অপশন।

প্রথম পেইজ আবেদন কারীর ঘোষনা।

প্রথম ধাপের “নামজারি আবেদন” বাটনে ক্লিক করার পর আবেদন ফরমের পেইজ নিচের ছবির মত ফরমটি প্রদর্শিত হবে।

জমির খারিজ করার পদ্ধতি

এই আবেদন ফরমে যে সব তথ্য দিতে হবে তা হলো-

  1. জমির মালিকানার সূত্র।
  2. ক্রাতা/বাদী বা গ্রহীতার তথ্য।
  3. মৌজার নাম সিলেক্ট।
  4. আবেদন সংক্রান্ত ঘোষনা।

৪ নং কলামে ১০টি ঘোষনা রয়েছে। যাহা পর্যায়ক্রমে সিলেক্ট করতে হবে। সকল তথ্য প্রদান করার পর নিচে সবুজ চিহ্নিত “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

দ্বিতীয় পেইজে জমির তফসিল ও গ্রহিতার তথ্য প্রদান।

১ম ঘোষনা সম্বলিত পেইজের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরনের পর নিচের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে আবেদন ফরমের দ্বিতীয় পেইজে। এই পেইজে জমির তফসিল ও গ্রহিতার তথ্য প্রদান করে নিচের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

তৃতীয় পেইজে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড।

২য় পেইজের নিচে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করার পেইজে। এখানে প্রথমে দাতার তথ্য অর্থাৎ আপনি যার থেকে জমির মালিকানা লাভ করেছেন তার তথ্য দিতে হবে।

দাতার তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আবেদন শুরু করার আগে যে ডকুমেন্টস স্ক্যান করে সংরক্ষণ করেছিলেন সেখান থেকে যথাস্থানে আপলোড করতে হবে।

চতুর্থ পেইজ ফি পরিশোধ বা পেমেন্ট।

তৃতীয় পেইজে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করার পর নিচের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে ফি পরিশোধ অপশনে। এখানে প্রয়োজনীয় ফি অর্থাৎ কোর্ট ফি বাবদ ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা, সব মিলিয়ে ৭০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরিশোধের মাধ্যমে আপনার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

আরো জানুনঃ

খারিজের আবেদন সাবমিটের পরের অবস্থা।

অনলাইনে জমির আবেদন সাবমিট করার পর আপনাকে কিছুদিন আপেক্ষা করতে হবে। এসময়ে ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ আপনার আবেদন যাচাই বাছাই করবেন। যদি আপনার আবেদন তদন্ত করার পর এসিল্যান্ড অফিস অনুমোদন করে তাহলে আপনার প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আর যদি আপনাকে তারা কিছুই না জানায় বা অনেকদিন হয়েছে কিছুই জানতে পারছেননা তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই জানতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নিম্মোক্ত ধাপ অবলম্বন করতে হবে।

অনলাইনে খারিজের অবস্থা জানার পদ্ধতি।

অনলাইনে খারিজ আবেদন সম্পন্ন করার পর আপনি অনলাইনেই আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আবেদনটি অনুমোদন হলো কিনা অথবা আবেদন বাতিল হলো কিনা তাও জানা যাবে এখানে।

তাছাড়া বাতিল হলে কোন কারণে বাতিল হয়েছে তাও এখানে জানা যাবে। ই নামজারির সর্বশেষ অবস্থা জানতে https://mutation.land.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।

পূণরায় ওয়েবসাইটে প্রবেশ।

আপনার জমির খারিজের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য আবার এই https://mutation.land.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এখানে প্রবেশ করলে নিচের অপশনটি চলে আসবে।

জমি খারিজ করার নিয়ম

উপরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর উপরোক্ত পেইজটি প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে আপনি “আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” বাটনে ক্লিক করুন।

আবেদনের সঠিক তথ্য পূরণ।

“আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” বাটনে ক্লিক করার পর নিম্নের ছবির ন্যায় আরেকটি পেইজ আপনার সামনে চলে আসবে। এই পেইজে যেসব তথ্য দিতে হবে তাহলো-

জমি খারিজ করার নিয়ম

  • বিভাগ।
  • আবেদনের আইডি(যেটি আপনার আবেদন সাবমিট করার সময় দেওয়া হয়েছে)।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার(যে নাম্বার আপনি আবেদনের সময় দিয়েছেন)।
  • ক্যাপচা কোড পূরণ বা যোগফল প্রদান।

উপরোক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে নিচের সবুজ চিহ্নিত “খুজুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। “খুজুন” বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে দেখানো হবে আবেদনের বর্তমান অবস্থা।

খারিজের আবেদন অনুমোদন হলে করনীয়।

জমি খারিজের আবেদন এর কাজ সম্পন্ন এবং আবেদন অনুমোদন করা হলে আপনাকে SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর সাথে সাথে আপনাকে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। শুনানিতে অংশগ্রহণ দুই ভাবে করা যায়। যথা-

  1. স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে।
  2. অনলাইনের মাধ্যমে।

স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে।

আপনার মোবাইলে SMS পাওয়ার পর  নির্দিষ্ট  দিন ও সময় উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহন করতে হবে। সহকারী কমিশনার ভূমি আপনাকে যা যা জানতে চান তার উত্তর দিয়ে চলে আসলেই হবে।

অনলাইনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করার পদ্ধতি

অনলাইনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে http://oh.lams.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার পর নিচের ছবির ন্যায় একটি পেইজ ওপেন হবে।

শুনানিতে অংশগ্রহন

উপরের পেইজে লাল চিহ্নিত “অনলাইনে শুনানী” বাটনে ক্লিক করতে হবে। “অনলাইনে শুনানী” বাটনে ক্লিক করার পর নিচের পাইজটি ওপেন হবে।

জমি খারিজ করার নিয়ম

ফরমটি সঠিক তথ্য প্রদান করে “অনুরোধ করুন” বাটনে ক্লিক করুন। “অনুরোধ করুন” বাটনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইলে একট OTP যাবে। OTP পরবর্তী পেইজে দিয়ে ভেরিফিকেশন হয়ে নতুন একটি পেইজ ওপেন হবে।

জমি খারিজ করার পদ্ধতি

এই পেইজটি যথাযথ ভাবে পূরণ করে নিচের অনুরোধ করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে আপনি মামলার শুনারি তালিকা দেখতে পারবেন। তারিখ অনুযায়ী আপনাকে একটি আইডি ও একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

উক্ত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নির্ধারিত দিন ও সময়ে অনলাইনে আপনি শুনানিতে অংশগ্রহন করতে পারবেন। শুনানিতে অংশ গ্রহন ও অনুমোদন হলে এর পরবর্তী কাজ DCR(ডুপলিকেট কার্বন রশিদ) কাটা।

DCR(ডুপলিকেট কার্বন রশিদ) কাটা।

অনলাইনে জমি খারিজ আবেদন অনুমোদন হলে, হালনাগাদ ফি বাবদ ১০০০ টাকা এবং প্রতি খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য ১০০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। যাবতীয় ফি পরিশোধ করার পর কিউআর কোডযুক্ত অনলাইন ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) সংগ্রহ করতে পারবেন।

খারিজ করতে কত টাকা লাগে।

আবেদনে কোর্ট ফী ২০ টাকা ,নোটিশ জারি ফী ৫০ টাকা, আবেদন অনুমোদন হলে খতিয়ান ফি ১০০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০/-টাকা, সর্বমোট নামজারী করতে ১১৭০ টাকা প্রয়োজন হয়।

নামজারি বাতিলের জন্য করণীয়।

নামজারী যদি কোন কারনে বাতিল করতে হয় তাহলে উক্ত নামজারী আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সঠিক কারণ বর্ণনাক্রমে উপজেলা ভূমি অফিসে বা এসিল্যান্ড অফিসে মিস কেস দায়ের করতে হবে।

যদি ৩০ দিন অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে বিলম্বের উপুযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত আইনের ১৫০ ধারা মতে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

শেষ কথা।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অনলাইন জমি খারিজ করার পদ্ধতি বা আবেদন, ই নামজারি আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সকল পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করে নিজে নিজে ঘরে বসে জমি খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

About Author

AMINUL ISLAM

মোঃ আমিনুল ইসলাম। পেশায় একজন ব্যাংকার। চাকরির পাশাপাশি লেখা লেখির অভ্যাস থেকে ব্লগিং করা। এই ব্লগে বিভন্ন প্রযুক্তি , সরকারি সেবা, ব্যাংকিং, আইন ও নিয়ম কানুন, এবং ইসলামিক সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি।

4 thoughts on “জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩। ই নামজারীর আবেদন করার নিয়ম।”

Leave a Comment