আমাদের দেশের নাগরিকদের নির্দিষ্ট পরিমান জমির জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। আর এই ভূমি উন্নয়ন কর কে বলা হয়ে থাকে,খাজনা। বর্তমান সময়ে আপনাকে খাজনা সংক্রান্ত কোন কাজের জন্য আর ভূমি অফিসে যেতে হবে না। আবার আপনি চাইলে ঘরে বসেই অনলাইন থেকে জমির খাজনা পরিশোধ ও চেক করে নিতে পারবেন। চলুন আলোচনা করা যাক অনলাইনে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম-২০২৩।
কিভাবে খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন?
এক সময় মানুষের ভূমি অফিসে গিয়ে জমির খাজনা পরিশোধ করতে হতো। এখন আর ভূমি অফিসে যেতে হবে না। আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।
তবে আপনি যদি নিজের ঘরে বসে অনলাইন থেকে খাজনা পরিশোধ করতে চান। তাহলে আপনার সামনে দুইটি উপায় আসবে। আর অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করার সেই উপায় গুলো হলো,
তো বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনে যে সকল উপায়ে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে পারবেন, সেই উপায় গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের ঘরে বসে খাজনা পরিশোধ করে দিতে পারবেন।
আরো দেখতে পারেনঃ অনলাইনে জমির খাজনা দেয়ার নিয়ম
জমির খাজনা চেক করার নিয়ম
আমরা যখন জমি ক্রয় করতে যাই তখন আমাদের অবশ্যই জানতে হয় যে,উক্ত জমির খাজনা হাল সন পর্যন্ত দেওয়া আছে কিনা। অথবা আমাদের নিজস্ব জমির কতদিন বা কতবছর খাজনা দেওয়া হয়না কিংবা কত বছরে কত টাকা খাজনা বকেয়া আছে তাহা জানা একান্ত প্রয়োজন। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে জমির খাজনা চেক করতে হয় বা জমির খাজনা চেক করার নিয়ম।
জমির খাজনা চেক করার মাধ্যম
আপনি যদি জমির খাজনা চেক করতে চান তাহলে দুইভাবে করতে পারবেন। যথাঃ-
- সরাসরি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে।
- অনলাইনে ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে।
উপরোক্ত দুটি উপয়ে আপনি জমির খাজনা চেক করতে পারবেন তো চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক জমির খাজনা চেক করার নিয়ম
সরাসরি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে।
আপনার যে ইউনিয়নে জমি রয়েছে সেই ইউনিয়নের ভূমি অফিসে সরাসরি গিয়ে জমির খাজনা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে সংশ্লিষ্ট জমির বর্তমান বা পূর্বের কোন বছরের খাজনার রশিদ অথবা নামজারীর কোন ফটোকপি সাথে নিয়ে যেতে হবে। ভূমি অফিসে গিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবেদন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মৌজার ভলিয়ম বা রেজিষ্টার বহি বের করে আপনাকে সরাসরি দেখিয়ে দিবে যে, আপনার জমির খাজনা কত বছরের বকেয়া বা খাজনা পরিশোধ আছে কিনা। এখানে আপনি ভলিয়ম বা রেজিষ্টার বহিতে আরো দেখতে পাবেন যে, জমির মালিকের নাম,জমির পরিমান,দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর,নামজারী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।
অনলাইনে ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে।
আপনি যদি ঘরে বসে জমির খাজনা চেক করতে চান তাহলে আপনাকে দুটি উপায় অবলম্বন করতে হবে। যথা-ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অথবা ভূমি উন্নয়ন কর অ্যাপস দিয়ে। নিম্মে ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এর মাধ্যমে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম আলোচনা করা হলো।
জমির খাজনা পরিশোধ বা খাজনা চেক করতে প্রথমে আপনার নাম ভুমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। সেখান থেকে একটি পাসওয়ার্ড নিতে হবে। আর যদি পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন করা থাকে তাহলে সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই ভুমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন। নিম্মের ৭ টি ধাপ পর্যায়ক্রমে অতিক্রম করেই আপনি আপনার জমির খাজনা সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন।
ভূমি উন্নয়ন করএর ওয়েবসাই্ট প্রবেশ করে নাগরিক কর্নার বাটনে ক্লিক করুন।
- লগইন বাটনে ক্লিক করুন।
- ইতো পূর্বে যার নামে রেজিষ্ট্রেশন করা আছে, সেই পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করুন। একাউন্ট না থাকলে নাম্বার অ জাতীয় পরিচুয় পত্র তথ্য দিয়ে একটি একাউণ্ট রেজিষ্টার করে নিবেন। এরপরে,
- লগইন সম্পূর্ণ হলে আপনার সামনে একটি মেনু বার চলে আসবে। উপরের ছবির দিকে খেয়াল করলেই আপনারা বুজতে পারবেন।
- এরপরে প্রোফাইল থেকে খতিয়ান থাকলে দাখিলা অপশন যেতে হবে।
- দাখিলা অপশনে ক্লিক করে তথ্যগুলো পূরণ করে আপনার কাঙ্ক্ষিত খাজনার পরিমান, জমির পরিমান, ও রশিদ দেখতে পারবেন, এবং সেখান থেকে জমির খাজনা পরিশোধ করার রশিদ ডাউনলোড করতে পারবেন।
শেষ কথা
জমিরা খাজনা যদি হালসন পর্যন্ত দেওয়া থাকে এবং খাজনা রেজিষ্টার বহিতে মালিকের নাম, দাগ-খতিয়ান, জমির পরিমান যদি ঠিক থাকে তাহলে ধরা যাবে জমির মালিকানা অনেকটাই সঠিক আছে। তাই জমির খাজনা সংক্রান্ত তথ্য জানার নিয়মটি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আসা করি মনজোক সহোকরে এই লেখাটি পড়লে সহজেই আপনারা জানতে পারবেন জমির খাজনা চেক করার নিয়ম।
ভূমি অফিসে খাজন্স দিলে ৫০০০ টাকা দিল ২০০০ টাকার রশিদ ধরিয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে কী কথনীয় আছে? 16122 তে কল করলে কোন প্রতিকার পাব কিনা?
ভাই এটার নাম বাংলাদেশ, এইসব অনিয়ম যেন নিয়মেই পরিণত হয়েছে। তাই এসব মেনে নিতে হবে বা ঐ সব জায়গায় সৎ লোক বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।